হাতের একজিমার সঠিক শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। কারণ রোগের লক্ষণ এবং কারণের মধ্যে কোনরকম সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যাবে না। হাতের একজিমা ছাড়া অন্য আরো কিছু চর্মরোগের ধরন ও একজিমার মত দেখাতে পারে। তাছাড়া প্রাথমিক অবস্থায় একজিমার রক্ষণ এবং লক্ষণের প্রকার, পরবর্তীতে চুলকানী, ত্বকে ছড়ে যাওয়া, ইনফেকশন এবং চিকিৎসা ইত্যাদির কারণে পরিবর্তিত রূপে দেখা দিতে পারে।
একজিমার লক্ষণ: রোগের শুরুতে আঙুল লাল ও শুকনো হয়ে ফেটে ফেটে যায়, হাতের চামড়া থেকে ফোসকা উঠে। অনেক সময় ত্বক ফেটে গিয়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। আঙুলে আংটি থাকলে তার চারপাশে একজিমা প্রকট হয়ে ওঠে।
খাবার থেকে একজিমা: আদা, পেঁয়াজ, টমেটো, গাজর, ডুমুর, কুমড়ো, বেগুন, পেপে থেকেও এ সমস্যা হতে পারে। খাবারের প্রোটিন জাতীয় অংশ প্রায়ই এ্যালার্জির সৃষ্টি করে। যেমন- আলু, গম, চিংড়ি, কাঁকড়া প্রভৃতি। প্লাস্টিক ও নিকেল জাতীয় ধাতব জিনিসের সংস্পর্শ থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে।
হাতে একজিমা হলে করণীয়ঃ
যতদূর সম্ভব কম হাত ধোবেন। উত্তম হয় সাবান বর্জন করতে পারলে এবং হাত সাধারণভাবে কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে ধোবেন।
মাথায় শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হলে হাতে গ্লাভস ব্যবহার করবেন অথবা অন্য কাউকে দিয়ে শ্যাম্পু মাখাবেন।
গৃহস্থালী পরিষ্কার ও ডিটারজেন্ট সরাসরি হাতে ধরবেন না। সুতী, প্লাস্টিক অথবা রাবার গ্লাভস পরে গৃহস্থালী কাজ করবেন।
এমন কোন কিছু হাতে ধরবেন না যার ফলে জ্বালাপোড়া বা চুলকানী হতে পারে যেমন উল, বাচ্চাদের ভিজা ডায়াপর বা ন্যাপকিন, আলু ছোলার সময় এবং তাজা ফল, শাকসবজি এবং কাঁচা মাংস কাটাকুটি করা নিষেধ।
একজিমা চিকিৎসা -
এ রোগ দীর্ঘমেয়াদে হয়। যেসব কারণে এ রোগ হয় তা থেকে দূরে থাকাই কাম্য, তবে অনেক সময় এটি সম্ভব হয় না। তবে সুচিকিৎসায় এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এ জন্য ক্রনিক বা দীর্ঘদিনের একজিমা সারাতে রোগীকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হয়।