December 5,2021/Erona Moumita
Department of ICE (BAUET)
https://www.facebook.com/erona.moumita.9
ত্বকের কালচে দাগের প্রধান কারন হল ত্বকের মেলানোসাইট কোষষ দ্বারা মেলালিনের অত্যাধিক উপাদন ।ইস্টোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোন ত্বকে মেলালিনের মাত্রা বাড়ায় ।এজন্য গর্ভবতী মায়ের ত্বকে কালেচ ভাব দেখা যায় ।
অতিরিক্ত সূর্যের রশ্নি শোষনের কারনে ত্বকে মেলালিনের মাত্রা বেড়ে যায় । এ কারনে গ্রীষ্মকালে ত্বকে কালচে ভাব দেখা যায় । মানুষের বয়সের সাথে মেলানোসাইট কোষের আকার বাড়ে । তাই বয়স্ক মানুষের ত্বকে বেশি কালো দাগ থাকে ।
এছাড়াও ত্বক কালচে হওয়ার আরও অনেক কারন আছে –
১। পোকামাকড়, কামড়ালে পুড়ে বা কেটে গেলে
২।আঘাত প্রাপ্ত ক্ষত ভালো হওযার সময় দাগ থেকে গেলে
৩।কোনো নিদিষ্ট ঔষুধের পার্শ্বর্প্রতিক্রিয়া
৪।অতিরিক্ত সূর্য রশ্নি শোষণ
৫।ত্বক যত্নকারী পণ্য পার্শ্বর্প্রতিক্রিয়া
৬।হরমোনাল পরিবর্তন
৭।ব্রণ , চুলকানি, ওয়ক্সিং
কিছু মানুষের ত্বকের কালো দাগ দূর করতে সৌন্দর্যবর্ধক ক্রিম ও সিরাম ব্যাবহার করে । এ ধরণের ক্রিম ও সিরাম এ যে উপাদান থাকে -
হাইড্রোকুইনোনঃ
হাইড্রোকুইনোন মেলালিনের উৎপাদনে বাধা দেয় । এজন্য এটি ত্বকের কালো ভাব দূরীকরণে একটি জনিপ্রয় উপাদান । হাইড্রোকুইনোনকে ব্লিচিং উপাদান বলা যেতে পারে ।
কিন্তু মাত্রারিক্ত হাইড্রোকুইনোনের ব্যাবহার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর । ।এমনকি ক্যাস্নার পর্যত্ন হতে পারে । এছাড়া হাইড্রোকুইনোন ব্যাবহারের কিছু পার্শ্বর্প্রতিক্রিয়া আছে –
১।রুক্ষতা
২।পুড়ে যাওয়া
৩।জ্বলন
৪।ফোসকা পড়া
রেটিনয়েডঃ
রেটিনয়েড মানে হল ভিটামিন –এ । রেটিনয়েড মৃত ত্বক কোষ দূর করে নতুন ত্বক কোষ তৈরী করে । নতুন ত্বকে কালচে ভাব থাকে না । এ পণ্য ৩-৬ মাস সময় লাগে কাজ করতে।
রেটিনয়েড ত্বকের প্রতি খুব সংবেদনশীল।অনেকের ত্বকে জ্বালা সৃষ্টি করে । গর্ভবতী মহিলার জন্য রেটিনয়েড ব্যাবহার না করা ভালো ।
হাইড্রোকুইনোন কলজিক এসিডের সাথে খুব ভালো সাথে কাজ করে । কলজিক এসিড বাকি উপাদান গুলোর মত কার্যকর নয় । সকলে কলজিক এসিড ব্যাবহার করতে পারে না ।
ভিটামিন –সিঃ
ভিটামিন –সি ত্বকের জন্য খুব ভালো । ভিটামিন –সি ফ্রি-রেডিক্যাল তৈরীতে বাধা দেয় । যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক । এছাড়াও এটি মেলালিন উৎপাদনের প্রক্রিয়া ধীর করে । ভিটামিন –সি শুধু কালো দাগযুক্ত জাযগায় কাজ করে ।
আজেলিক এসিড গম বা শস্য জাতীয় পদার্থ থেকে পাওয়া যায় । আজেলিক এসিড ব্রণ ও ব্রণের কারণে কালো দাগ দূর করে ।
এগুলো ছাড়াও ভিটামিন – ই , ম্যানডেলিক এসিড ইত্যাদি থাকে ।
যদি ত্বকের সৌন্দর্যবর্ধক পণ্য কাজ না করে তাহলে ত্বকের সৌন্দর্যবর্ধক প্রক্রিয়া আবলম্বন করা হয় । এগুলো হল-
এ পদ্ধতিতে ত্বকের কালো দাগযুক্ত জাযগায় লেজার রশ্নি দেওয়া হয় । ত্বকের উপরের স্তরের কোষ পুড়িয়ে দূর করে দেয় । লেজার পদ্ধতি দ্রুত কাজ করে । কিন্তু লেজার পদ্ধতি অনেক পার্শ্বর্প্রতিক্রিয়া আছে ।
বিভিন্ন ধরণের লঘু এসিড ব্যাবহার করা হয় ত্বকের দাগ দূর করতে ।এগুলো হল-
১।আলফা /বেটা হাইড্রোক্সি এসিড
২।সালিসেলিক এসিড
৩।জলেকোলিক এসিড
৪।ল্যাটিক এসিড
এ লঘু এসিড গুলো মৃত কোষ দূর করে । রাসায়নিক পদার্থ ত্বকের নানা ক্ষতি করতে পারে ।
ত্বকের সৌন্দর্যবর্ধক প্রক্রিয়া গুলো অনেক ক্ষতিকর । তাই এগুলো না করানো ভালো ।
অনেক ঘরোয়া উপাদান ত্বকের কালচে দাগ দূরীকরনে সাহায্য করে ।
১।পেঁপেঁ
২।হলুদ
৩।টক দই
৪।টমেটো
৫।বাদাম তেল
৬।লেবু
৭।মধু
৮।আ্যলোভেরা
৯।বেসন
এ উপাদান গুলো খুব ধীরে কাজ করে । কিন্তু উপাদান গুলো কোনো পার্শ্বর্প্রতিক্রিয়া নেই ।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবোঃ
যখন কালো দাগ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পরবে তখন চিকিৎসকের পরমর্শ নিতে হবে । যদি কালো দাগ নিয়ে কেউ খুব চিন্তিত হয় অথবা দৈনিক জীবনে অসুবিধা ঘটায় তাহলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে ।
কালচে দাগ রোধে করনীয়ঃ
প্রথমত ত্বকের ভালোভাবে যত্ন নিতে হবে । পুষ্টিকর ফল ও শাকসবজি খেতে হবে।পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমাতে হবে । সানক্রিম ব্যাবহার করতে হবে । ত্বকে যেকোনো পণ্য ব্যাবহারে সচেতন হব ।
সর্বশেষে আমরা বলতে ত্বক দাগ দূর করা থেকে রোধ করা বেশি ভালো । যা খুব সহজে করা যায় সূর্য থেকে দূরে থেকে ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করে ।কালো দাগ সময়ের সাথে হালকা হয়ে যায় । কালো দাগ দ্রুত দূর করতে চিকিৎসকের পরমর্শ নেয়া ভালো ।
https://www.medicalnewstoday.com/articles/324833#home-remedie
https://www.healthline.com/health/beauty-skin-care/how-to-remove-dark-spot-caused-by-pimples
https://www.healthline.com/health/beauty-skin-care/how-to-remove-dark-spot-caused-by-pimples