Categories
See All >
ত্বকের কালচে দাগ থেকে মুক্তি লাভের উপায়

ত্বকের কালচে দাগ থেকে মুক্তি লাভের উপায়

Beauty Blogs
Hit Count : 185
মসৃণ ত্বক প্রতেকটি মানুষের আশা । কিন্তু ত্বকের কালচে এ আশা পূরণের অন্যতম বাধা । ত্বকের কালচে দাগ মেলালিনের অত্যাধিক উপাদনের  কারনে হয় । ত্বকের কালো দাগ দূর করতে অনেকে ত্বক ফর্সাকারী পণ্য ব্যাবহার করে । অনেকে আবার ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে ।


December 5,2021/Erona Moumita

Department of ICE (BAUET)

https://www.facebook.com/erona.moumita.9


ত্বকের কালচে দাগের  কারনঃ

 

ত্বকের কালচে দাগের  প্রধান কারন হল ত্বকের মেলানোসাইট কোষষ দ্বারা মেলালিনের অত্যাধিক উপাদন ।ইস্টোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোন ত্বকে মেলালিনের মাত্রা বাড়ায় ।এজন্য গর্ভবতী মায়ের ত্বকে কালেচ ভাব  দেখা যায় ।

অতিরিক্ত সূর্যের রশ্নি শোষনের কারনে ত্বকে মেলালিনের মাত্রা বেড়ে যায় । এ কারনে গ্রীষ্মকালে ত্বকে কালচে ভাব দেখা যায় । মানুষের বয়সের  সাথে  মেলানোসাইট কোষের আকার বাড়ে । তাই বয়স্ক মানুষের ত্বকে বেশি কালো দাগ থাকে ।





 

এছাড়াও ত্বক কালচে হওয়ার আরও অনেক কারন আছে 

১। পোকামাকড়, কামড়ালে পুড়ে বা কেটে গেলে

২।আঘাত প্রাপ্ত ক্ষত ভালো হওযার সময় দাগ থেকে গেলে

৩।কোনো নিদিষ্ট ঔষুধের পার্শ্বর্প্রতিক্রিয়া

৪।অতিরিক্ত সূর্য রশ্নি শোষণ

৫।ত্বক যত্নকারী পণ্য  পার্শ্বর্প্রতিক্রিয়া

৬।হরমোনাল পরিবর্তন

৭।ব্রণ , চুলকানি, ওয়ক্সিং

 

ত্বকের কালচে দাগ দূর করার উপায়ঃ


ত্বকের সৌন্দর্যবর্ধক পণ্যঃ

 

কিছু মানুষের ত্বকের কালো দাগ দূর করতে সৌন্দর্যবর্ধক  ক্রিম ও  সিরাম  ব্যাবহার করে । এ ধরণের  ক্রিম ও  সিরাম  এ যে উপাদান থাকে  -


হাইড্রোকুইনোনঃ

হাইড্রোকুইনোন  মেলালিনের উৎপাদনে বাধা দেয় । এজন্য এটি ত্বকের কালো ভাব দূরীকরণে একটি জনিপ্রয় উপাদান । হাইড্রোকুইনোনকে ব্লিচিং  উপাদান বলা যেতে পারে ।

কিন্তু মাত্রারিক্ত  হাইড্রোকুইনোনের  ব্যাবহার  ত্বকের  জন্য ক্ষতিকর । ।এমনকি  ক্যাস্নার  পর্যত্ন হতে পারে । এছাড়া হাইড্রোকুইনোন ব্যাবহারের কিছু  পার্শ্বর্প্রতিক্রিয়া  আছে –

১।রুক্ষতা

২।পুড়ে যাওয়া

৩।জ্বলন

৪।ফোসকা পড়া


রেটিনয়েডঃ

রেটিনয়েড  মানে হল ভিটামিন –এ । রেটিনয়েড মৃত  ত্বক কোষ দূর করে নতুন ত্বক কোষ তৈরী করে । নতুন ত্বকে  কালচে ভাব থাকে না । এ পণ্য ৩-৬ মাস সময় লাগে কাজ করতে।

রেটিনয়েড ত্বকের প্রতি  খুব  সংবেদনশীল।অনেকের ত্বকে জ্বালা  সৃষ্টি করে । গর্ভবতী  মহিলার জন্য  রেটিনয়েড  ব্যাবহার  না করা ভালো ।


কলজিক এসিডঃ

হাইড্রোকুইনোন  কলজিক এসিডের  সাথে খুব ভালো  সাথে  কাজ  করে । কলজিক এসিড  বাকি উপাদান গুলোর মত কার্যকর নয় । সকলে কলজিক এসিড ব্যাবহার করতে পারে না ।


ভিটামিন –সিঃ

ভিটামিন –সি ত্বকের জন্য খুব ভালো । ভিটামিন –সি  ফ্রি-রেডিক্যাল  তৈরীতে বাধা দেয় । যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক । এছাড়াও  এটি মেলালিন উৎপাদনের প্রক্রিয়া  ধীর করে । ভিটামিন –সি শুধু কালো দাগযুক্ত  জাযগায়  কাজ করে ।


আজেলিক  এসিডঃ

আজেলিক  এসিড গম বা শস্য  জাতীয় পদার্থ  থেকে পাওয়া যায় । আজেলিক  এসিড  ব্রণ ও ব্রণের কারণে  কালো  দাগ দূর করে ।

এগুলো ছাড়াও   ভিটামিন – ই , ম্যানডেলিক এসিড  ইত্যাদি  থাকে ।


 ত্বকের সৌন্দর্যবর্ধক প্রক্রিয়াঃ

যদি ত্বকের সৌন্দর্যবর্ধক পণ্য কাজ না করে তাহলে ত্বকের সৌন্দর্যবর্ধক প্রক্রিয়া আবলম্বন করা হয় ।  এগুলো হল-


লেজার পদ্ধতিঃ

এ পদ্ধতিতে ত্বকের কালো  দাগযুক্ত  জাযগায়  লেজার রশ্নি  দেওয়া হয় । ত্বকের  উপরের  স্তরের  কোষ  পুড়িয়ে দূর করে দেয় ।  লেজার পদ্ধতি দ্রুত কাজ করে  । কিন্তু লেজার পদ্ধতি  অনেক  পার্শ্বর্প্রতিক্রিয়া আছে ।


রাসায়নিক পদার্থঃ

বিভিন্ন ধরণের লঘু এসিড ব্যাবহার করা হয়  ত্বকের দাগ দূর করতে ।এগুলো হল-

১।আলফা /বেটা হাইড্রোক্সি এসিড

২।সালিসেলিক  এসিড

৩।জলেকোলিক এসিড

৪।ল্যাটিক এসিড

এ লঘু এসিড গুলো মৃত কোষ দূর  করে । রাসায়নিক পদার্থ ত্বকের নানা ক্ষতি করতে পারে ।

ত্বকের সৌন্দর্যবর্ধক প্রক্রিয়া গুলো অনেক ক্ষতিকর । তাই এগুলো  না করানো ভালো ।

 

ঘরোয়া পদ্ধতিঃ

অনেক ঘরোয়া উপাদান ত্বকের কালচে দাগ দূরীকরনে  সাহায্য করে ।

১।পেঁপেঁ

২।হলুদ

 




৩।টক  দই

৪।টমেটো

৫।বাদাম তেল

৬।লেবু

৭।মধু

৮।আ্যলোভেরা

৯।বেসন

এ উপাদান গুলো খুব ধীরে কাজ করে । কিন্তু উপাদান গুলো  কোনো পার্শ্বর্প্রতিক্রিয়া নেই ।

 

কখন চিকিৎসকের কাছে  যাবোঃ

যখন কালো দাগ খুব দ্রুত ছড়িয়ে  পরবে তখন চিকিৎসকের পরমর্শ  নিতে হবে । যদি  কালো দাগ নিয়ে কেউ খুব চিন্তিত হয় অথবা  দৈনিক জীবনে অসুবিধা  ঘটায় তাহলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে ।


কালচে দাগ রোধে করনীয়ঃ

প্রথমত ত্বকের ভালোভাবে যত্ন নিতে হবে । পুষ্টিকর ফল ও শাকসবজি খেতে হবে।পর্যাপ্ত  পরিমান ঘুমাতে হবে । সানক্রিম  ব্যাবহার করতে হবে । ত্বকে যেকোনো পণ্য ব্যাবহারে  সচেতন  হব ।

সর্বশেষে আমরা বলতে ত্বক দাগ দূর করা থেকে  রোধ করা বেশি ভালো । যা খুব সহজে করা যায় সূর্য থেকে দূরে থেকে ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করে ।কালো দাগ সময়ের সাথে হালকা হয়ে যায় । কালো দাগ দ্রুত  দূর করতে চিকিৎসকের পরমর্শ নেয়া ভালো ।


তথ্যসূত্রঃ

https://www.medicalnewstoday.com/articles/324833#home-remedie

https://www.healthline.com/health/beauty-skin-care/how-to-remove-dark-spot-caused-by-pimples

https://www.healthline.com/health/beauty-skin-care/how-to-remove-dark-spot-caused-by-pimples