Categories
See All >
ত্বকের ৯ টি সমস্যার অন্যতম সমাধান : আ্যলোভেরা !!

ত্বকের ৯ টি সমস্যার অন্যতম সমাধান : আ্যলোভেরা !!

Beauty Blogs
Hit Count : 294
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ত্বকের যত্নে সবচেয়ে ভাল প্রাকৃতিক উপাদান। কারণ প্রাকৃতিক উপাদানের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তাই ত্বককে সুন্দর রাখতে প্রাকৃতিক উপাদান বেশি ব্যবহার করা উচিত।



ঔষধি উপাদান আছে বিধায় ত্বক ও চুলের সমস্যা কমাতে অ্যালোভেরা  সহায়তা করে। তাই সৌন্দর্য চর্চায় আ্যলোভেরা সহজ কিছু ব্যবহার নিয়ে আজ আলোচনা করবো।


অ্যালোভেরা কী?

ল্যাটিন শব্দ অ্যালোভেরা, বাংলায় এর নাম ঘৃতকুমারী। তবে, অ্যালোভেরা নামেই বেশি পরিচিত সাকুলেন্ট প্রজাতির এ উদ্ভিদ।

                                                                  



অ্যালোভেরা ভেষজ গুণাবলি :

গ্রীষ্মকালে অ্যালোভেরা ত্বকে খুব ভালো কাজ করে কারণ এর ৯৮ শতাংশই পানি। অ্যালোভেরা ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল’, ‘অ্যান্টিসেপ্টিক’, ‘অ্যান্টি ইনফ্লামাটরি’, ‘অ্যান্টি অক্সিডাইজিং’, ‘অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল’ ও ‘অ্যাস্ট্রিজেন্ট’ সমৃদ্ধ তাই ত্বকের ও  চুলের যত্নেও খুব ভালো কাজ করে।

 

অ্যালোভেরা ভাবে ব্যবহার করবেন:

অ্যালোভেরা ব্যবহারের সবচেয়ে ভালো উপায় হল পাতার তাজা জেল ব্যবহার করা। এজন্য একটি তাজা অ্যালোভেরার ভেতরের অংশ থেকে রস সংগ্রহ করে নিন।

 

কী কী  করতে পারে এই অ্যালোভেরা?

 

১.ত্বকে বলিরেখা রোধ করে:


                                                                          


বয়সের বাড়ার সাথে আমাদের চামড়ায় ভাজ পড়ে  যা সহজেই দূর করতে পারেন এই অ্যালোভেরা ব্যবহার করে । এজন্য গোলাপ জলের সঙ্গে অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে প্রতিদিন গোসলের পরে ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

 

২. সান বার্ণ  দূর করে :


                                                           


রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বক উজ্জল রাখতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা হয়। ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল আর অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে এই মাস্ক সান বার্ন হয়ে যাওয়া ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

 

৩.ত্বককে সজীব রাখে:

   

                                                 

অ্যালোভেরা দিয়ে ত্বকের মৃত কোষ দূর করার মাস্ক তৈরি করার জন্য আপনার লাগবে ১ চা চামচ ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল , এক চা চামচ ওটমিলের গুড়া আর ১/২ চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।মাস্কটি মুখে আর গলায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখবেন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন।

 

৪. একনে  দূর করে :

                                                                                           


অ্যালোভেরার প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান একনে সারাতে কার্যকর। অ্যালোভেরার জেল আইস কিউব ট্রেতে করে অ্যালোভেরার আইস কিউব তৈরি করে এই কিউব দিনে দু তিনবার আপনার একনেতে ঘষলে একনের সমস্যা কমে যাবে।


৫.চুলের বৃদ্ধি  ঘটায়:


                                                         


ত্বকের পাশাপাশি চুলের জন্য অ্যালোভেরা অনেক দরকারি। অ্যালোভেরার ব্যবহারে মাথার ত্বকের পি এইচ ঠিক থাকে আর খুশকিও দূর হয়। ২:১ অনুপাতে  অ্যালোভেরা জেল আর  ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে সারা রাত রেখে সকালে শ্যাম্পু  করতে হবে। চুল খুশকি মুক্ত থাকবে।

 

৬.ঠোঁট উজ্জ্বল ও মসৃণ রাখে :


                                                         


ঠোঁট এর রঙ উজ্জ্বল রাখতে ও ঠোঁট নরম আর মসৃণ করতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা যায়। এক টেবিল চামচ  চালের গুঁড়া আর অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে আস্তে আস্তে এই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগিয়ে ৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। দেখুন ঠোঁট কত উজ্জ্বল, মসৃণ এবং কোমল হয়ে ওঠে।


৭.মেছতার  দাগ দূর করে :


                                                   


ঘৃতকুমারীর নির্যাসের সঙ্গে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল মিশিয়ে ত্বকে আলতোভাবে ঘষতে পারেন। নিয়মিত এটি ব্যবহারে ধীরে ধীরে মেছতার দাগ কমে যাবে।


৮.স্ট্রেচ মার্ক দূর করে :


                                                                


প্রেগন্যান্সির পর শরীরে স্ট্রেচ মার্ক দেখা দিলে অ্যালোভেলা ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।হাফ চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ৪ চা চামচ অলিভ ওয়েল, ভিটামিন ই ও ভিটামিন এ ক্যাপসুল মিশিয়ে একটি প্যাক বানান। এরপর স্টেচ মার্ক যেখানে যেখানে রয়েছে, সেখানে লাগান৷



৯.ক্ষত নিরাময় করে:


                                                             


অ্যালোভেরার অ্যান্টিসেপটিক গুনাগুনও উল্লেখযোগ্য। অ্যালোভেরার পাতার জেল বের ফ্রিজে রাখুন আর অল্প কেটে গেলে বা ক্ষত হলে লাগান। দিনে দুই বা তিন বার লাগালেই ক্ষত আরাম হবে।


কিছু  সর্তকতা:

তুলো বা সুতি কাপড় ছাড়া অন্যকিছু দিয়ে ত্বকে অ্যালোভেরা লাগানো ঠিক নয়। তাতে অ্যালার্জী হওয়ার ঝুকি তৈরি হয়। অ্যালোভেরার রস ত্বকে লাগিয়ে রোদে যাওয়া যাবে না। তাতে  ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।


লিখেছেন – ইরোনা মৌমিতা

১  এপ্রিল  ,২০২২


তথ্যসূত্র :

https://www.jagonews24.com/

https://www.shajgoj.com/

https://www.somoynews.tv/

https://tv9bangla.com/