দাঁতে দৃশ্যমান কোনো পোকা থাকে না।এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ডেন্টাল ক্যারিজ বা দাঁতের ক্ষয় রোগের জন্য দায়ী।সাধারণত যে কোনো ধরনের মিষ্টি খাবার, চিনিযুক্ত খাবার, চকলেট, চুইংগাম, ক্যান্ডি ইত্যাদি খাওয়ার পর মুখে এক ধরনের অ্যাসিড তৈরি হয়, যা ধীরে ধীরে দাঁতের ওপরের শক্ত আবরণ 'এনামেল' ক্ষয় করে থাকে।
December 5,2021/by Lutfun Nahar Luna Department of ICE (BAUET). |
https://www.facebook.com/lutfunnahar.luna.7543
দাঁত ক্ষয়ের কারণ কী?
উত্তর : আসলে দাঁত ক্ষয়ের কারণ কী, এটি আমরা এখনো স্পষ্টভাবে জানতে পারিনি। কিছু কিছু বিষয় এর জন্য দায়ী। যেমন : খাদ্যাভ্যাস, সময়, মুখের লালা, মুখের পরিবেশ। এসব একসঙ্গে হয়ে দাঁতের ক্ষয়রোগ হয়।
খাবার খেলে দাঁতে খাদ্যকণা লেগে থাকে। এসব খাবারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করে পরিশোধিত চিনি। এটা খুব বেশি এর জন্য দায়ী।
আমরা বলি, খাওয়ার পর দাঁত মাজবেন। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যা খাই, তারই খাদ্যকণা দাঁতের মধ্যে লেগে থাকে। আরেকটি বিষয় হলো, প্রবণতা। সবার তো এই রোগ হয় না, যাদের প্রবণতা বেশি তাদের হয়।
প্রতিদিন অন্তত দু’বার দাঁত ব্রাশ করা জরুরী, এই কথাটা আমরা সকলেই জানি। আমরা অনেকেই দিনে দু’বার দাঁত ব্রাশ করি এবং ঘরের ছোটো শিশুদের দাঁতের যত্ন নিতে শিখিয়ে থাকি। কিন্তু তা সত্ত্বেও নানা কারণে দাঁত ও মাড়িতে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণের ফলে অকালে দাঁতের ক্ষয়, মাড়িতে ব্যথা ইত্যাদি নানা সমস্যা লেগেই থাকে।
২) টুথপেস্ট হোক ভেষজ:
রাসায়নিক উপাদান কম থাকে এমন টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। বাজার চলতি ভেষজ উপাদানে তৈরি প্রচুর আয়ুর্বেদিক টুথপেস্ট আছে। দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে এগুলোর ব্যবহার বেশি করে করুন।
৩) দাঁত পরিষ্কার রাখুন:
রাতে খাওয়ার পর এবং সকালে খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করুন। এক্ষেত্রে নরম টুথব্রাশ ব্যবহার করাই ভাল। দাঁত ব্রাশ করার সময় জিহ্বা পরিষ্কার করুন।
দাঁত ব্যাথা হলে করনীয়
1.ব্যথাযুক্ত দাঁতে বরফ কুচি কাপড়ে পেঁচিয়ে রাখা যেতে পারে 2.গরম পানি দিয়ে কুলকুচি দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণা সরিয়ে ব্যথা কমাবে। 3.দাঁতের ব্যথার জন্য যত শিগগিরই ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়া যায় ততই মঙ্গল। |
তথ্যসূত্রঃ
|