পৃথিবীজুড়ে হৃদরোগে আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে, বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। তাই বুকে ব্যথা হলে অবহেলা না করে সতর্ক থাকতে হবে সবসময়। বুকে শুধু হৃৎপিণ্ডই নেই, এখানে রয়েছে ফুসফুস, শ্বাসনালি, খাদ্যনালি, পাঁজরের হাড়-মাংস ইত্যাদি। আর এসবের কারণেও বুকে ব্যথা হতে পারে। তাই বুকে ব্যথা হলেই তা হৃদরোগ বলে ধরে নেওয়া ঠিক নয়। বুকে ব্যথার ধরণ নিয়ে ডাঃ সমীর বলেন, হার্টের তিনটি স্তরের কারণে ব্যথা হতে পারে। এগুলোর মধ্যে হার্টের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যাওয়া অর্থাৎ হার্ট অ্যাটাকজনিত কারণে বুকে ব্যথা সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেন।
বুকে ব্যথা হওয়ার কারণ-
অতিরিক্ত ভয় পেলে-
প্রচণ্ড ভয় পাওয়ার পর বুকের ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার কারণটা নিঃসন্দেহে মানসিক। চিকিৎসকদের মতে, একজন রোগী প্রচণ্ড বুকে ব্যথা নিয়ে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের শরাণাপন্ন হলে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে তাঁর বুকে ব্যথার পেছনের হৃদযন্ত্রের কোন ভূমিকা নেই।
পেটের আলসার ও বুকে ব্যথা-
হাইপার এসিডিটি বা পেটের আলসার বা পেপটিক আলসারের সমস্যাকে সাধারণ মানুষ গ্যাস্ট্রিক বলে থাকেন। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায়ও বুকে ব্যথা হতে পারে। এ ব্যথা সাধারণত বুকের মাঝ বরাবর নিচের দিকে অনুভূত হয়। রোগের তীব্রতায় অনেক সময় তা পুরো বুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভাজাপোড়া খেলে, খালি পেটে থাকলে এ ধরনের ব্যথা আরও বেড়ে যায়। রেনিটিডিন বা ওমিপ্রাজল গ্রুপের ওষুধ খেলে এ জাতীয় ব্যথা কমে যায়। হার্টের ব্যথা কখনও এসব ওষুধে ভালো হয় না।
মানসিক কারণের ব্যথা বুকেই অনুভূত হয়-
ভয় বা মানসিক চাপ থেকে হওয়া ব্যথা বুকে শুরু হয় এবং তা যতক্ষণ স্থায়ী হয় ততক্ষণ একই স্থানে অনুভূত হয়। তবে হৃদরোগজনিত ব্যথা শুরু হয় বুকে এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। যেমন- চোয়াল, কাঁধ, হাত ইত্যাদি।