ঘরে বসে করা যায় কোন কোন ব্যায়াম?
১. প্ল্যাঙ্কিং
নতুনদের জন্য সুগঠিত ও শক্তিশালী অ্যাবস, কাঁধ, বাহু ও পিঠকে শক্তিশালী করবে প্ল্যাঙ্কিং ব্যায়াম। প্ল্যাঙ্কিং ব্যায়াম বিভিন্ন ভাবে করা যায়। প্রথমদিকে এই ব্যায়াম একবারে ৩০ সেকেন্ড করে করা অধিক ভালো।
২. ক্রস ক্রাঞ্চ
ক্রস ক্রাঞ্চ কোরকে মজবুত করে এবং পেটের পেশী শক্তিশালী করে। তাছাড়াও পেটের অতিরিক্ত ভুঁড়ি কমাতেও বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
৩. স্কোয়াটস
নিয়মিত ব্যায়াম এর রুটিনে স্কোয়াটস যুক্ত করার ফলে বডির মধ্যে সুন্দর আকৃতি নিয়ে আসা যায়। বিশেষ করে পুরুষদের নিম্ন পেশী মানে পেট, কোমর ইত্যাদি শক্তিশালী করতে এই ব্যায়াম খুবই ভালো ভূমিকা পালন করে।
৪. লুঙ্গস
ঘরে বসে কোনো রকম সরঞ্জাম ছাড়া ব্যায়াম বা জিম করতে আপনার নিয়মিত ওয়ার্ক আউটের তালিকায় লুঙ্গস রাখা যায় । ব্যায়মটি হাঁটুর নিচের অংশ রান ও পেটের পেশীকে শক্তিশালী করবে।
৫. পুশ-আপ
কেউ ব্যায়াম করুক বা না করুক পুশ-আপের সাথে কম বেশি সবাই পরিচিত। মূলত পুশ-আপ আপনার বাহুর পেশী ও বুকের পেশী শক্তিশালী ও উন্নত করতে সাহায্য করে।
৬. রাশিয়ান টুইস্ট
রাশিয়ান টুইস্ট ব্যায়ামটি পেটের পেশীর উন্নতির জন্য করা হয়। পেটের অতিরিক্ত মেদ বা ভুরি কমাতে রাশিয়ান টুইস্ট ব্যায়ামটি করতে পারেন।
৭. দড়ির লাফ
ছোটবেলায় দড়ি নিয়ে লাফালাফি করেনি এমন মানুষ দিনের বেলায় বাতি জ্বালিয়েও একেবারে খুঁজে পাওয়া যাবে না। দড়ির লাফের সাথে আমরা সবাই পরিচিত।এই খেলা ছেলেদের তুলনায় মেয়েরাই বেশি খেলে থাকে। এটা ব্যায়াম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই ব্যায়ামটি খুবই সহজ এবং বেশ জনপ্রিয়।
৮. জাম্পিং জ্যাক
বিশেষজ্ঞদের মতে, জাম্পিং জ্যাক অন্যতম সেরা কার্ডিও ব্যায়াম। জাম্পিং জ্যাক আপনার হার্ট শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। যেসব মানুষ তুলনামূলক কম পরিশ্রম করেন, তাদের জন্য জাম্পিং জ্যাক খুবই উপকারী ব্যায়াম। হার্টের রোগীর জন্যও এই ব্যায়াম কার্যকরী। এ ছাড়াও ব্যায়াম স্ট্রেস দূর করে আর মেজাজ ও ফুরফুরে করে। এই ব্যায়ামটি করা অনেকটাই সহজ। কোনোরকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই এই ব্যায়াম করা যায়।
৯. ইয়োগা
ইয়োগা মানে যোগ ব্যায়াম। ১টা ম্যাট নিয়ে এর উপর শুয়ে, বসে বা দাঁড়িয়ে এই ব্যায়াম করা হয়। ব্যায়াম শুরুর আগেই ঘরে ৫ মিনিটের মতো হেঁটে নিবেন বা চোখ বন্ধ করে জোড়ে শ্বাস নিয়ে ব্যায়াম শুরু করবেন।
১০. স্ট্যান্ড জগিং
স্ট্যান্ড জগিং এর জন্য যন্ত্রের প্রয়োজন হয় না। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে কোনো কিছু ধরে আপনি জগিং করতে পারেন। ফলে আপনার পুরো শরীরের ব্যায়াম হবে। শরীরে মেদ কমার ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী ব্যায়াম।
১১. শোল্ডার সার্কেল
সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে সামনে দিকে তাকান। ডান হাত ভাঁজ করে ডান কান বরাবর তুলুন। এরপর নির্দিষ্ট তালে হাতটি উপরে, নিচে, পেছনে ঘোরান। আবার একইভাবে বাম হাত ঘোরান ।
ব্যায়াম করার আদর্শ সময় আসলে কোনটি ?
ব্যায়ামের জন্য সবচেয়ে ভালো সময় নির্ভর করে ব্যাক্তির সুযোগ-সুবিধার ওপর। যে সময়টি নিয়মিত ব্যায়ামের জন্য সুবিধাজনক, আপনি সেই সময়টি বেছে নিন। ভরপেট খাওয়ার পরপরই ব্যায়াম করা উচিত নয়। একাধিক গবেষণা বলছে, দিনের যেকোনো সময়ের পরিবর্তে সকালে ব্যায়াম করলে বেশি কাজে দেয়।
ব্যায়াম করার পর কী খাওয়া উচিত ?
ব্যায়াম করার আধঘণ্টার মধ্যেই মাসলের পুষ্টির জন্য প্রোটিন খাওয়া উচিত, তাতে শক্তি বাড়ে। কিন্তু খুব বেশি খিদে পেয়ে গেলে ব্যায়াম করার পর পরই খেয়ে নিন খালি পেটে থাকবেন না। সেই সঙ্গে পানি খেতে খেতে ভুলবেন না যেন !
শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজন শারীরিক পরিশ্রম। তবে অরিতিক্ত ব্যায়াম করলে হতে পারে নানা রকম শারীরিক সমস্যা।তাই এ বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে ।
লিখেছেন – ইরোনা মৌমিতা
২৬ জানুয়ারি , ২০২২
তথ্যসূত্র: